জেলা ও দায়রা জজ
মোঃ হেলাল উদ্দিন
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ
জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন ১০ জানুয়ারি, ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দ কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের ছাগাইয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, ভৈরব থেকে ১৯৮৩ সালে এস.এস.সি. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঢাকা বোর্ডে মানবিক বিভাগে মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঢাকা বোর্ডের মেধা বৃত্তি তালিকায় ৯ম স্থান লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে এল.এল.বি (সম্মান) ও এল.এম.এম, ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ১৯৯৪ সালে ১৩তম বি.সি.এস. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী জজ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে সহকারী জজ হিসেবে গোপালগঞ্জ এবং সিনিয়র সহকারী জজ হিসেবে রাজবাড়ি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া (নবীনগর চৌকি) আদালতে সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করেন। তিনি যুগ্ম জেলা জজ এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে হবিগঞ্জ ও ফেনী জেলায় কাজ করেন। তিনি অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে দীর্ঘ ০৬ মাস ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৫ সালে বিচার বিভাগে সর্বোচ্চ পদ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ জেলায় জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বিগত ১৪/০৯/২০২২ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ সিনিয়র জেলা ও দায়রা হিসেবে কুমিল্লায় যোগদান করেন।
তাঁর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ জেলা বিচার বিভাগ ২০২২ সনে জেলা পর্যায়ে প্রথম বারের মত প্রবর্তিত 'প্রধান বিচারপতি পদক' লাভ করে। তিনি অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি এবং ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল, ভারত থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি বিগত ২৭/০২/২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখ ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি নিজ গ্রাম ছাগাইয়াতে সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে মোঃ হেলাল উদ্দিন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন যা তাঁর গ্রামের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে নিরন্তর। এছাড়া তিনি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী যোগেন্দ্র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নিবিড়ভাবে জড়িত ও আজীবন দাতা সদস্য। তিনি শিশুকাল থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত শিশু সংগঠন 'খেলাঘর' এর সাথে জড়িত। তিনি ১৯৮৫ সালে ভৈরবের স্বনামধন্য অরাজনৈতিক শিশু সংগঠন 'কাকলী খেলাঘর' এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিজ এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ এর স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া তিনি নিজ উপজেলা ভৈরবের সরকারি চাকরিজীবী ঐক্য পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা। তিনি নিজ উপজেলা ভৈরবে শিক্ষার প্রসার ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নানাবিধ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত।