Skip to main content
 

ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কথা

নবাবী আমল থেকেই বাংলা,বিহার,উড়িষ্যা জেলায় দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত চালু ছিল। ১৭৯৩ সনের ৩ নং রেগুলেশনে ততকালীন বাংলা প্রদেশের ঢাকা জেলা সহ ২৩ টি জেলায় মূর্শিদাবাদ ও পাটনা শহরে জেলা দেওয়ানী আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। এভাবে দেওয়ানী মোকদ্দমার জন্য ঢাকা জেলা ও ঢাকা শহরের জন্য দুটি পৃথক আদালত স্থাপিত হয়।

১৭৯৩ সনের ৯ নং রেগুলেশনের মাধ্যমে ২৩ টি জেলা আদালত ও ৩টি সিটি আদালতের বিচারকদের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়।

জেলা জজ মুন্সেফ এর মধ্যবর্তী হেডনেটিভ কমিশনার/সাব-জজ নামক আদালত সৃজনের মাধ্যমে ১০০ সিক্কা রূপী মূল্যের বিচারের দায়িত্ব দেয়া হয় (রেগুলেশন ৪০/১৭৯৩)।

১৭৯৩ সনের ৫ নং রেগুলেশনের মাধ্যমে জেলা দেওয়ানী আদালতের আপীল শ্রবনের জন্য ঢাকা, কলকাতা, মূর্শিদাবাদ,পাটনা শহরে প্রাদেশিক আপীল আদালত প্রতিষ্ঠিত হতো।

একই আইনে ৪টি প্রাদেশিক আপীল আদালতের ৪টি ফৌজদারী বিভাগের সার্কিট জজ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ঢাকা সার্কিটের আওতায় ঢাকা সিটি ও সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা জিলালপুর,ত্রিপুরা,চট্টগ্রাম জেলা ছিলো। বর্তমানে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারক কর্মরত আছেন। বর্তমানে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জনাব এ,এইচ,এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া।

উল্লেখ্য, ১৯০২ সন হতে ১৯০৫ সন পর্যন্ত ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক ছিলেন বিচারক বার্নার্ড নিকোল যিনি তার বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূখী কর্মের জন্য স্মরনীয় হয়ে আছেন। নিকোল সাহেবের রমনার বাসভবন টি-ই বর্তমানে মাননীয় প্রধান বিচারপতির বাসভবন হসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

 ঢাকা জেলা ও দায়রা   জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো রেবতী ম্যানসন বিল্ডিংটি। আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি। ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির রয়েছে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস যা কালের স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে। বর্তমানে প্রায় আটাশ হাজারের উর্দ্ধে সনদপ্রাপ্ত আইনজ়ীবী এই বারের অধীনে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। 

বিভিন্ন সময়ে নানান জাতীয় ও জনগুরুত্বপুর্ণ মামলার রায় এসেছে এই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাত ধরে। স্বনামধন্য ও অকুতোভয় বিচারকবৃন্দ নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন তাদের উপর অর্পিত বিচারিক দায়িত্ব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলার বিচারের মাধ্যমে এ জাতিকে ইতিহাসের দায় হতে কলঙ্ক মুক্ত করেছে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত।(চলমান) 

 

 

 

প্রয়াসেঃ

রাজিব হাসান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

শাফিয়া শারমিন, সিনিয়র সহকারী জজ

দুরদানা রহমান, সহকারী জজ